নিজস্ব প্রতিবেদক:
বিগত ভয়াবহ বন্যা ও ভারতের মেঘালয় পাহাড়ের ঢলের পানি বিপদ সীমায় প্রবাহিত হয়ে সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা ও নবগঠিত মধ্যনগর উপজেলায় সব কাঁচা ও পাকা সড়ক ভেঙে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। প্রতিটি সড়ক চলাচলে অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
জরুরি ভিত্তিতে ধর্মপাশা উপজেলা সদর হতে কান্দাপাড়া ভায়া জয়শ্রী ইউনিয়নের জয়শ্রী বাজার পর্যন্ত স্থানীয় সরকার এলজিইডির প্রায় ১২ কিমি পাকা সড়ক, নবগঠিত মধ্যনগর উপজেলা সদর হতে ভারতের সীমান্তবর্তী উত্তর বংশীকুণ্ডা ইউনিয়নের মহেষখলা বাজার পর্যন্ত প্রায় ১৪ কিমি ইটের সলিং সড়কের ইট সরে গিয়ে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। গর্তগুলো এখন মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে।
এসব সড়ক জরুরি ভিত্তিতে মেরামতের প্রয়োজন বলে এলাকাবাসীর দাবি। উপজেলা সদর ইউনিয়নের হলিদাকান্দা দক্ষিণপাড়া মসজিদ হতে বাউহাটিয়া বড়বাড়ি পর্যন্ত প্রায় ২ কিমি পাকা সড়ক, সরকারি কলেজ হতে মইশাখালী পর্যন্ত প্রায় ৪ কিমি পাকা সড়কটি দীর্ঘ ১২ বছর যাবৎ মেরামত না করায় সড়কটি এখন মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে।
এ ব্যাপারে মধ্যনগর বাজার বণিক সমিতির সভাপতি অমরেশ রায় চৌধুরী বলেন, স্বাধীনতার পর থেকে এ পর্যন্ত মধ্যনগরে উল্লেখযোগ্য কোনো উন্নয়ন হয়নি। সড়কগুলো মেরামত হলে বাজারে মালামাল আনা- নেওয়ায় খরচ কম হতো। এখন সড়ক যোগাযোগ বন্ধ থাকায় দ্বিগুণ খরচে মালামাল আনতে হয় বিধায় বেশি দামে বিক্রি করতে হয়।
জয়শ্রী বাজারের ব্যবসায়ী আব্দুল হাই বলেন, পার্শ্ববর্তী নেত্রকোনা জেলার মোহনগঞ্জ থেকে একটুলি মাল ধর্মপাশায় আনতে খরচ হয় ২০০ টাকা। কিন্তু ধর্মপাশা থেকে জয়শ্রী বাজারে আনতে খরচ হয় ৫০০ হতে ৭০০ টাকা। ওই দ্বিগুণ খরচ তো মালের ওপর পড়ছে।
তাই নিত্য প্রয়োজনীয় মালামাল বেশি দামে বিক্রি করতে হয়। ধর্মপাশা উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী মোহাম্মদ শাহাব উদ্দিন জনকণ্ঠকে বলেন, বিগত ভয়াবহ বন্যায় ধর্মপাশা ও নবগঠিত মধ্যনগর উপজেলায় স্থানীয় সরকার এলজিইডির আওতাধীন কাঁচা ও পাকা ৪৮৪ কিমি সড়কের মধ্যে ২১৪ কিমি পাকা সড়ক, এর মধ্যে ১৮৮ কিমি বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ৭০কিমি রাস্তার ব্রিজ-কালবার্ড ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।