একে এম গিয়াসউদ্দিন, ভোলা প্রতিনিধি:
‘ভোলায় নিজ বাড়ির প্রবেশ পথে সীমানা প্রাচীর দিয়েছেন প্রতিবেশী। নিষেধ করায় হামলারও শিকার হয়েছেন তিনি। এতে চলাচলে চরম ভোগান্তিতে পড়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন মোহাম্মদ আলী নামে এক ভুক্তভোগী। সম্মেলনে তিনি প্রতিপক্ষের চক্রান্তের হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার আকুতি জানিয়েছেন।মঙ্গলবার (13 ডিসেম্বর) ভোলা প্রেসক্লাবে তিনি সংবাদ সম্মেলন করেন । সংবাদ সম্মেলন করা মোহাম্মদ আলী ভোলা শহরের কালিবাড়ি রোডের পৌর ২ দুই নম্বর ওয়ার্ডের মৃত রুস্তম আলীর ছেলে। তার কোনো ছেলে সন্তান নেই। তিন মেয়ে সন্তান নিয়ে পিতার ১ এক একর ৭৫ শতাংশ জমির উপর ঘর তুলে কয়েক বছর ধরে বসবাস করে আসছেন।’
‘সংবাদ সম্মেলনে তিনি অভিযোগ করে জানিয়েছেন, তার পিতার এস এ 202 ও 203 খতিয়ানের 1144 নম্বর দাগের এক ১ একর ৭৫ শতাংশ জমির উপর ঘর তুলে দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে তিনি বসবাস করে আসছেন। সম্প্রতি তার জমির পাশে বসবাস করা কামাল নামে এক প্রতিবেশী তার জমির পাশে আট ৮ ফুট সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করে তার চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে দেয়। প্রতিবাদ করায় তার উপর হামলা চালায়। এই ঘটনায় তিনি ভোলা জেলা প্রশাসক ও ভোলা সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বরাবর অভিযোগ করেও কোনো আইনি সহায়তা পাননি।’
‘পুলিশ ও পৌর মেয়র ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রাচীরের নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেওয়ার পরও জোরপূর্বক প্রতিপক্ষরা নির্মাণ কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। সম্মেলন তিনি আরও অভিযোগ করেন, পৌরসভার আইন অনুযায়ী প্রতিপক্ষ প্রাচীর নির্মাণ করেনি। তাতে তিনি বাধা প্রদান করলে কামালের ভাই কুশল ও তার ভাগ্নে নিঝুম তাকে এলোপাতাড়ি মারধর করে। এ ঘটনার ঘন্টাখানেক পর নান্টু মিয়া এবং কামালের স্ত্রী রিমু গিয়ে তার পরিবারের সদস্যদেরকে অকথ্য ও অশ্লীল ভাষায় গালমন্দ করেন।’
‘প্রতিপক্ষের অত্যাচার ও চক্রান্ত থেকে রক্ষা পেতে সংবাদ সম্মেলনে আকুতি জানিয়েছেন তিনি। তবে প্রতিপক্ষের কুশলের দাবি, প্রাচীন নির্মাণের জায়গা তার ভাই কামালের কেনা সম্পত্তি। 9 ডিসেম্বর মধ্যরাতে মোহাম্মদ আলী ও তার পরিবারের সদস্যরা ওই প্রাচীর শাবল দিয়ে ভেঙে ফেলার চেষ্টা করে। যার ফলে দুপক্ষের মধ্যে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। তবে কোনো মারধরের ঘটনা ঘটেনি।’