নিজস্ব প্রতিবেদক
গত ২৯ নভেম্বর ২০২২ ইং তারিখে দৈনিক রাজশাহী আলো নামের একটি স্থানীয় পত্রিকা ❝ হাইকোর্টের আদেশ অমান্য করে নিজেকে ডাক্তার বলে জাহির করছে প্রতারক হৃদয় ইসলাম❞ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশ করেছে।যে সংবাদটি মিথ্যা বানোয়াট ও ভিত্তিহীন। আমি হৃদয় ইসলাম (৩৮) উক্ত সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
? যুক্তি খন্ডন ?
আমি মোহনপুর উপজেলার কেশরহাট বাজার সংলগ্ন ❝ নিউ লাইফ হারবাল মেডিকেল ❞ রাজশাহী মহানগরীর ঘোষপাড়া মোড়ে ❝ ইবনে সিনা লাইফ কেয়ার মেডিকো ❞ এবং রাজশাহীর বানেশ্বর বাজার পূবালী ব্যাংক সংলগ্ন “নিউ লাইফ হারবাল মেডিকেল” নামে স্বাস্থ্য সেবামূলক প্রতিষ্ঠান অত্যন্ত সততা ও নিষ্ঠার সাথে পরিচালনা করে আসছি।
আরোও উল্লেখ্য যে, আমি ২০১২ সালে বাংলাদেশ বোর্ড অফ ইউনানি এন্ড আয়ুর্বেদিক সিস্টেমস অফ মেডিসিন থেকে সার্টিফিকেট প্রাপ্ত হয়ে সরকারি বিধি মোতাবেক ড্রাগস সুপার কর্তৃক লাইসেন্সপ্রাপ্তির পর প্রায় ০৯ বছর ধরে চিকিৎসা সেবা দিয়ে আসছি। এ ক্ষেত্রে আমার কিংবা আমার প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কেউ কোনদিন কোন অভিযোগ করেননি।
কিন্তু সম্প্রতি একটি কুচক্রি মহল আমার প্রতিষ্ঠানের চিকিৎসা সেবা নিয়ে প্রশ্নবিদ্ধ করার অপপ্রয়াস চালাচ্ছে। এতে আমি এবং আমার প্রতিষ্ঠান শুধু বিব্রতই নয় বরং উক্ত মানহানীর কার্যক্রমে যারা অতি উৎসাহী তাদের বিরুদ্ধে অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করার উদ্যোগ নিয়েছি।
প্রতিবাদলিপিতে আরো বলেন, আমার পরিচালিত প্রতিষ্ঠান গুলো ২০১৫ সালের ও আগের যে কারনে ওই সময় নামের আগে ডাঃ ব্যবহারের কোন নির্দিষ্ট নিয়ম ছিলো না।
তাই তখন থেকে এভাবেই চলছিলো কিন্তু মহামান্য হাইকোর্টের রায় এর পরে আইন এর প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শণপুর্বক ডাঃ ব্যবহার থেকে আমি সহ আমাদের সকল ইউনানী চিকিৎসকগণ নামের পূর্বে ডাঃ ব্যবহার থেকে সরে দাড়াই।আমার কিছু প্রতিষ্ঠান এ পুরোন কিছু প্রেস্ক্রিপশন প্যাড ছিলো যা আমি পরিবর্তন করার নির্দেশনা দিয়েছি অনেক আগে।যার মধ্যে প্রায় সব প্রতিষ্ঠান এর পুরোন নামের সব কিছু পরিবর্তন করা হয়েছে দুই-এক যায়গায় কিছু ত্রুটি ছিলো সেগুলো পরিবর্তন এর প্রক্রিয়াধীন আছে।
কিন্তু তার পরেও কোন নির্দিষ্ট অভিযোগ ছাড়াই প্রতিবেদনে আমাকে ও আমার প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে যে সকল তথ্য দেয়া হয়েছে তা হলুদ সাংবাদিকতা ছাড়া আর কিছুই নয়।
একটি চক্র উদ্দেশ্য মূলক ভাবেই অর্থের বিনিময়ে কথিত সংবাদ কর্মীদের দিয়ে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করে আমার বিরুদ্ধে ও আমার প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অপপ্রচার করেছে যা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দণ্ডনীয় অপরাধ।
কোন প্রমান ছাড়া তারা আমার ছবি ব্যবহার করে ও আমার প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে প্রতিহিংসা মূলক ও মিথ্যা তথ্য দিয়ে অপপ্রচার করেছে। আগামীতে প্রমান ছাড়া আমাকে ও আমার প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার করলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বাধ্য হবো।
প্রতিবাদান্তে…..
ইউনানী চিকিৎসক হৃদয় ইসলাম।